যশোরে এ বছর শারদীয় দুর্গোৎসবে ৬৯৯টি মণ্ডপে পূজার আয়োজনে শেষ মুহূর্তে চলছে প্রতিমায় রঙ তুলির আঁচড় ও সাজ-সজ্জার কাজ। আগামীকাল সোমবার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাম্বলীদের বৃহৎ এ উৎসব। এ বছর যশোর সদরে ১৪৫টি, মণিরামপুরে ১০৩টি, বাঘারপাড়ায় ৯৪টি, অভয়নগরে ১২৬টি, কেশবপুরে ৯৮টি, ঝিকরগাছায় ৫৫টি, শার্শায় ২৯টি ও চৌগাছায় ৪৯টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব হবে। যশোরের ৮ উপজেলায় ৩ স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ এ নিয়ে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে একাধিক সভা করেছে। যশোর শহরে মন্দিরগুলোয় চলছে আলোকসজ্জা, তোরণ নির্মাণসহ নানা কাজ। রামকৃষ্ণ আশ্রম, বেজপাড়া পূজা সমিতি মন্দির, বকচরের লক্ষ্মী নারায়ণ বিগ্রহ মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী পুরাতন কালীবাড়ি মন্দির, রাধাগোবিন্দ পূজা মন্দির, শহীদ সুধীর ঘোষ পূজা মন্দির, নীলগঞ্জ মহাশ্মশান পূজা মন্দিরগুলোকে বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। গত বছরের চেয়ে এ বছর উৎসবে যোগ হবে নতুন মাত্রা এমনটি জানিয়েছেন পূজা কমিটির লোকজন।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অসীম কুণ্ডু  জানান দুর্গোৎসবের সার্বিক প্রস্তুতির ৯৫ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি তাদেরও একটি টিম কাজকর্ম তদারকি করছে। পূজায় সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং গত বছরের চেয়ে এবার পূজা বেশ জমজমাট হবে বলে আশা করেন তিনি। পূজা উদযাপন পরিষদ পৌর কমিটির সভাপতি সুজিত কাপুড়িয়া বলেন, গত বছর করোনা মহামারিতে দুর্গাপূজার আয়োজন কম হয়েছিল। এবার সেটা জাঁকজমকপূর্ণ হবে। বেজাপাড়া পূজা সমিতি মন্দিরের পুরোহিত নরেন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তী বলেন, ‘মহালয়াতেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়ে যায়। পঞ্জিকা মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার মর্তে আসবেন ঘোড়ায় চড়ে।

বকচরের লক্ষ্মী নারায়ণ বিগ্রহ মন্দিরের ভাস্কর গোপাল পাল বলেন, ‘এ বছর ২৫টি মন্দিরের জন্যে প্রতিমা তৈরি করেছি। এগুলোর মধ্যে যশোরের মণিরামপুর, কেশবপুর, চৌগাছা, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর থেকে অর্ডার দেওয়া প্রতিমাও রয়েছে।’